---2025-10-15T210240-68efb7dce7649.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের এক সভায় ইউনিয়নবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় মাদ্রাসার শিক্ষক, মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, রাজনীতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেক শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা হিংসার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিব না। আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেন নি। আমরা যে লড়াইটা করেছি, সংগ্রামটা করেছি, ছেলেরা যে কারণে প্রাণ দিয়েছে এটা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা আপনারা সকলে বোঝেন। আপনারা যা বলবেন সেটাই। অর্থাৎ আপনারা ভোট দিবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে। সে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন। পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের কথা বলবে, আপনাদের কথা বলবে। এটাকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেন নি। আমরা যে লড়াইটা করেছি, সংগ্রামটা করেছি, ছেলেরা যে কারণে প্রাণ দিয়েছে এটা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা আপনারা সকলে বোঝেন। আপনারা যা বলবেন সেটাই৷ অর্থাৎ আপনারা ভোট দিবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে। সে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন। পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের কথা বলবে, আপনাদের কথা বলবে। এটাকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৫ আগস্টে যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান দেশ নতুন করে সাজানোর সুযোগ হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশটা সাজাতে চাই। অনেক মত থাকবে, অনেক মত একমত হবে না। মতগুলোকে পার্লামেন্টে আনতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত পাবে। দেশটা সেভাবে চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ কথাটা বারবার বলছি যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ থাকবে। এখানে যারা হিন্দু আছেন তারা হিন্দু ধর্ম পালন করবে, তাদের মন্দির সুরক্ষিত থাকতে হবে। যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তাদের মসজিত সুরক্ষিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা শহিদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি নয়মাস দেশটার জন্য যুদ্ধ করেছেন। আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের সবার চাওয়া ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতার যে অস্তিত্ব সেটা ভুলে যাওয়ার কোন কারন নাই। আমরা স্বাধীনতা ভুলে যেতে পারিনা। ঠিক একইভাবে চব্বিশের ৫ আগস্ট আমরা ভুরবোনা। কারন এই দিন আমাদের ছেলেরা রক্ত দিয়েছে। আমাদের উপর যে একটা দানব এসে বসেছিলো সেটা সরিয়ে দিয়েছে। এটাকেউ আমরা ভুলতে পারবোনা। এই যে এক সাথে সবকিছুকে নিয়ে চলা এটাই হবে নতুন বাংলাদেশ।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
- আবু সালেহ/এমআই