Logo

সারাদেশ

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

Icon

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৮

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

গাজীপুরে ‘হিন্দু যুবক কর্তৃক এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন ধরে ধর্ষণের’ ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি : বাংলাদেশের খবর

গাজীপুরে ‘হিন্দু যুবক কর্তৃক এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন ধরে ধর্ষণের’ ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’, ‘নারেয়া তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। ধর্ষকের কোনো ধর্মীয় পরিচয় হতে পারে না। তবে কিছু দালাল চক্র, বিশেষ করে বিজেপি, ‘র’ ও ইসকন কেন্দ্রিক চক্র, বাংলাদেশের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করার জন্য দিনের পর দিন কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার থাকবেন। কোনো ক্ষেত্রেই সামান্য ছাড় দেওয়া হবে না।

তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে যারা মুসলিম নারীদের টার্গেট করছে। কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে বামপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট ও বুদ্ধিজীবীরা সাধারণত সোচ্চার হন। কিন্তু ধার্মিক বা পর্দাশীল কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তারা চুপ করে থাকেন।

তারা আরও বলেন, একজন শিশুকে অপহরণ করে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষকরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। মিডিয়া চুপ। কোনো আওয়াজ নেই। মনে হয় কিছুই ঘটেনি। ভাইরাল হওয়া শিশুটির ভিডিও দেখলে গা শিহরিত হয়। ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে। যদি ফাঁসি কার্যকর না করা হয়, ইন্টেরিম সরকার চেয়ারে বসার ন্যূনতম নৈতিকতাও রাখে না।

প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। দুই মাস আগে ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মণ ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় লোকনাথের ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক তিনদিন ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

এস. এম. শাহরীয়ার স্বাধীন/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষণ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর