দুই দশক পর ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় উৎসবমুখর নির্বাচন
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫২
ছবি : সংগৃহীত
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় দুই দশক পর ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩ হাজার ৩৮০ জন ভোটারের মধ্যে ৫৭৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা প্রায় ১৭ শতাংশ। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিভাবক সদস্য পদে ভোটের তারিখ নির্ধারিত হলেও এক ব্যক্তি ভুয়া অভিভাবক পরিচয়ে হাইকোর্টে রিট করলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার পুরুষদের জন্য পাঁচটি এবং নারীদের জন্য তিনটি বুথে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হলে আলিম/ফাজিল স্তরে ছালাহ উদ্দিন ভূঞা কিরণ (চেয়ার প্রতীক) ৩৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি আবদুর রহমান পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। দাখিল/ইবতেদায়ী স্তরে মো. নুরুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউদ্দিন পেয়েছেন ১৮২ ভোট।
এর আগে কামিল স্তরে আবদুল জলিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বিজয়ী ছালাহ উদ্দিন ভূঞা কিরণ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হওয়ায় অভিভাবকসহ সচেতন মহলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য হবে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা।’
নির্বাচন দেখতে মাদ্রাসার প্রধান ফটকে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে স্কুল-মাদ্রাসাসহ সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ দখলে নিয়েছিল। বহু বছর পর ভোট হওয়ায় মানুষ উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছে। মিজান রোড, মিজানপাড়া, কলেজ রোড ও স্টেশন রোড এলাকায় সারাদিন উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করেছে।’
এম. এমরান পাটোয়ারী/এআরএস

