৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ায় ৬০ শিশু-কিশোর পেল সাইকেল ও উপহার

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টানা ৪১ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় ৬০ জন শিশু-কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এলাকার কৃতি সন্তানদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সীতাকুণ্ড পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দলিলুর রহমান জামে মসজিদে পুরস্কার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের হাতে সাইকেল, স্কুলব্যাগসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেন অতিথিরা।
ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিক মূল্যবোধে শিশু-কিশোরদের উদ্বুদ্ধ করতে নুনাছড়া ও উত্তর কেদারখীল এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজসেবক মোবারক হোসেন জামসেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দলিলুর রহমান জামে মসজিদের সভাপতি ও জাফরনগর অপর্ণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সদস্য ওহিদুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাজহারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরসেদ আলম সোহাগ। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্য একটি আকর্ষণ ছিল কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা। নুনাছড়া ও উত্তর কেদারখীল এলাকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে উৎকৃষ্ট সাফল্য অর্জন করেছেন। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জিয়াউল করিম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বকর, রেজাউল করিম রানা, ইরফান মাহমুদ রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম, মুনছুর আলম, হাফেজ শাহাদাৎ হোসেন, হাফেজ সামসুল হুদা ফাহিম, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, জাফর আলম খোকন, রাসেদ কামাল চৌধুরী টিপু ও তহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যেভাবে কৃতি শিক্ষার্থীরা এলাকার নাম উজ্জ্বল করছে, তেমনি ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক দায়িত্ববোধেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
৪১ দিনের নামাজ কর্মসূচিতে মোট ৬০ জন শিশু-কিশোর অংশ নেন। নিয়মিত উপস্থিতি, শৃঙ্খলা ও মনোযোগের ভিত্তিতে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে সাইকেল প্রদান করা হয়। সাইকেল বিজয়ীরা হলেন- শাফায়েত, অভি ও সামির। অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের স্কুলব্যাগসহ নানা উপহার দেওয়া হয়।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে কোমলমতি শিশু-কিশোররা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনে আগ্রহী করতে এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
মোহাম্মদ জামশেদ আলম/এমবি