নোয়াখালীতে যুবদল-শিবিরের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫০
---2025-10-19T194919-68f4ec975c24f.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
নোয়াখালী সদরের নেওয়াজপুর কাশেম বাজারে যুবদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
রোববার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, শনিবার (১৮ অক্টোবর) কাশেম বাজারের একটি মসজিদে জামায়াত-শিবিরের কুরআন তালিম ও ফরম পূরণের কাজ চলছিল। সেখানে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী গিয়ে জামাত নেতা সেলিম বিগত সময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছিল উল্লেখ করে তাকে নিয়ে জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম না করার অনুরোধ জানান। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তার প্রতিবাদে রবিবার একই স্থানে প্রতিবাদ সভা ও পুনরায় কুরআন তালিমের আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত-শিবির। এক পর্যায়ে মসজিদে গিয়ে বাধা দেয় যুবদল ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পক্ষে ৫০জন আহত হয়। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা সেলিমের নেতৃত্বে মসজিদে ঢুকে ফরম ফিলআপ করেছে শিবির। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে রবিবার শিবিরের নেতৃত্বে জেলা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় সেখানে সভা ডাকে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজেভাবে স্লোগান দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে সতর্ক থাকতে বললে তারা যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক, যুবদল নেতা রায়হান, জিয়াসহ ২৫-৩০জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়। তিনি দাবি করেন, শিবিরের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জেলা শহর থেকে গিয়ে সেখানে এ হামলা চালিয়েছে।’
ছাত্রশিবিরের শহর শাখার প্রচার সম্পাদক কেএম ফজলে রাব্বি কলেন, ‘শিবিরের উদ্যোগে শনিবার কাশেম বাজার মসজিদে কুরআন তালিম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্থানীয় যুবদল নেতা ফারুকের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে শনিবার কুরআন তালিম করা যায়নি। পরে আজ রোববার পুনরায় সেখানে কুরআন তালিমের আয়োজন করা হয়। আজও ফারুকের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে হাসান, দেলওয়ার হোসেন মিশু, আবিদ, সালা উদ্দিনসহ ৩০জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়।’
সংঘর্ষের ঘটনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে বিকেলে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
- দ্বীপ আজাদ/এমআই