কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে কলেজের কান্দিরপাড় উচ্চমাধ্যমিক শাখায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আহতরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, বেলা ১১টার পর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাত ফাহাদকে হামলা করে এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। পরে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হলে সিফাত তার বন্ধুদের ডেকে আনে। দুপুর ১২টার কিছু পর, কলেজ ছুটির সময় সিফাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার একটি ১২ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে অন্যদের ধাওয়া দিচ্ছে, আরেকজনের হাতে পিস্তল দেখা যাচ্ছে-যদিও তার চেহারা স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওতে দেখা তরুণ সিফাত।

আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, ‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যতটুকু জেনেছি, আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নন। তবে আমাদের কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং জড়িতদের অভিভাবকদেরও অবহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

• সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমআই