সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ এনসিপির

আরিফুল ইসলাম সাব্বির, সাভার
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০০:২৬

ঢাকার সাভারে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রবিবার সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানার সামনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
তিনদফা দাবিগুলো হলো, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। সাভারের কমলাপুর-বিরুলিয়া ও আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ অন্ধকার এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিয়মিত পুলিশের টহল নিশ্চিত করা। সাভার এলাকায় খুন, গুম ও ধর্ষণ প্রতিরোধে বিশেষ সেল বা টাস্কফোর্স গঠন করা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ঢাকা জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মেহরাব সিফাত বলেন, মানুষ আজ রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীন। গুম, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে। এটি সেই ফ্যাসিবাদের সময়কালের আলামত, যার মূল এখনো সাভারের মাটিতে রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের দোসরেরা ধর্ষক, খুনি, মাদককারবারির পরিচয়ে সাভারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। কিন্তু এনসিপি তা কখনোই হতে দেবে না।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মুফতি শহীদুল্লাহ শোয়াইব, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য তামিম আজহার ও আমানুল্লাহ শিব্বির প্রমুখ।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফেরার পথে সাভারে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রবিবার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিঠু বিশ্বাস (৩৫) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানার পুলিশ। মামলার অন্য দুই আসামি- সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)-এখনও পলাতক। মামলায় সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মিঠু ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরিফুল ইসলাম সাব্বির/এমএম