সীতাকুণ্ডে নাটকীয়তার পর জব্দকৃত ইলিশ মাদরাসায় বিতরণ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪
---2025-10-22T193417-68f8dd7bcc332.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে জব্দ করা প্রায় এক টন ইলিশ শুঁটকি বিতরণের ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযানে জব্দকৃত শুঁটকির মূল্য প্রায় সাত লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত আড়তদার।
মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ–পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়। এ সময় চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৫ অক্টোবর রাতে উপজেলার কুমিরা ঘাটঘর এলাকার একটি আড়ত থেকে প্রায় ৮৫০ কেজি নোনা ইলিশ (শুঁটকি) ও প্রায় ১ মন তাজা ইলিশ ও পাঙাশ মাছ জব্দ করে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোতাছিম বিল্লাহ।
তবে জব্দকৃত শুঁটকি প্রজনন মৌসুম শুরুর দুই মাস আগে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রাথমিকভাবে শুঁটকি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আইনি জটিলতার কারণে ২২ অক্টোবর তা বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন আড়তদার আয়ুব আলী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় লবণ দিয়ে ইলিশ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। অথচ কোনো নোটিশ ছাড়াই আমার সাত লাখ টাকার শুঁটকি জব্দ করে বিতরণ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিতরণকৃত শুঁটকি ৮–১০টি মাদ্রাসায় দেওয়া হলেও প্রায় এক মন তাজা মাছ ও পাঙাশ বিতরণের আওতায় আসেনি। অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো অভিযানে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘অনুমতিপত্র ছাড়া মজুদকৃত মাছ আইন বিরুদ্ধ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- মোহাম্মদ জামশেদ আলম/এমআই