চরফ্যাসন শহরের প্রধান সড়ক হকার ও যানবাহনের দখলে
এম ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা)
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৫৩
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ভোলার চরফ্যাসন পৌর শহরের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বর্তমানে হকারদের দখলে রয়েছে। সড়কের দু’পাশে দোকান বসানো, অবৈধ পার্কিং এবং যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ, রোগী ও সাধারণ জনতা।
সরজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে আধুনিক হাসপাতাল পর্যন্ত অটোরিকশা ও সিএনজির যত্রতত্র পার্কিং রয়েছে। ফুটপাতসহ রাস্তার বড় অংশ জুড়ে বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকান। কেউ চায়ের দোকান করছে, কেউ ফল বিক্রি করছে, কেউবা নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
হকাররা জানিয়েছেন, তারা নিম্ন আয়ের মানুষ এবং দিনমজুরির ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করছেন। নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে প্রধান সড়কের দু’পাশে ব্যবসা করছেন। তারা চান, পৌরসভা তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট হকার জোন তৈরি করুক, যাতে সড়ক দখল না করে ব্যবসা করতে পারেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থেকে কর্মজীবী মানুষরা সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে দেরি করছে। সবচেয়ে বিপদে পড়ছেন রোগীরা। অ্যাম্বুলেন্স বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে গিয়ে যানজটে আটকে অনেক সময় রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক রোগীদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ আগে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা কিছুদিন বাস্তবায়ন হলেও বর্তমানে থেমে গেছে। প্রায় এক বছর আগে উপজেলা প্রশাসন হকার উচ্ছেদ ও যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। নির্ধারিত স্থানে পার্কিং না করার কারণে সড়কের দু’পাশে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ‘পৌর শহরের প্রধান সড়কটি হকার ও যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে দখল হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সকলে ভোগান্তিতে পড়ছেন। যানজট নিরসনে পূর্বে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
এআরএস

