আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব
বগুড়ায় পাল্টা সংঘর্ষে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২১:০৮
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এর জেরে বিকেলে প্রতিপক্ষ অপর গ্রুপ নারুলী পশ্চিম পাড়ায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর, চারটি বাড়ির প্রায় ২০ ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ স্থানীয়দের।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- সান্ধার পট্টি এলাকার রবিন (২৫)। বাকি দুইজনের বাড়িও সান্ধার পট্টি এলাকায় তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে শহরের উত্তর চেলোপাড়ার নারুলী ও সান্ধার পট্টি এলাকার মধ্যে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারুলী এলাকার কয়েকজন যুবক বটতলা মোড়ে সান্ধার পট্টির তিন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্ট হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই আহতদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে সান্ধার পট্টি এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নারুলী এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর, চারটি বাড়ির প্রায় ২০ ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই ইউনিট এবং সদর থানা ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বগুড়ার সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন লাগার পরপরই আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।’
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে অভিযান চলছে।’
ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার পরিস্থিতি এখনো থমথমে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
- জুয়েল হাসান/এমআই


