Logo

সারাদেশ

‘মাইয়া ডারে ওরা বাঁচতে দিল না’

Icon

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৫২

‘মাইয়া ডারে ওরা বাঁচতে দিল না’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আমার মাইয়াডা শান্ত ছিলেন; যৌতুকের টেহার (চাপে) জন্য ওরা আমাদের মাইয়া ডারে বাঁচতে দিল না। এখন আমাদের ছোট্ট নাতি ডারের কী হবে। মাইয়াডায় এসে নতুন ঘর বানানো হলেও তিনি সেখানে থাকতে পারলেন না। একমাত্র কন্যা সন্তানকে হারিয়ে আহাজারি করছিলেন নিহত গৃহবধু মিমের বাবা মোসলেউদ্দিন চকিদার। মেয়ের মরদেহের পাশে নিঃসঙ্গভাবে বসেছিলেন মা জোসনা বেগম।

বাবা-মায়ের অন্তহীন আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠেছে এওয়াজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদ্রাজ গ্রামের গৃহবধু মিমের বাড়ি। সন্তানহারা বাবা-মায়ের আহাজারীতে কাঁদছে পাড়া প্রতিবেশী ও স্বজনরাও।

(২৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে নিহত গৃহবধু মিমের বাড়িতে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়।

এরপর তার বাবার সহযোগিতায় প্রবাসী স্বামী ইসমাইল তার বসত বাড়ির একটু দূরে জমি কিনে ছোট্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। সেখানে দোচালা একটি টিনের ঘর বানিয়ে মিম তার দেড় বছরের শিশু কন্যা ইসরাতকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মেয়ের নিরাপত্তার জন্য মিমের মা রাতে মেয়ের সঙ্গে জামাতার বাড়িতে থাকতেন।

ঘটনার দিন বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে তার শিশু কন্যা ইসরাত খেলার ছলে একটি কুকুরের ওপর পড়ে যায়। এসময় শিশুর হাতে কুকুরের নখের আঘাত লাগে। এ নিয়ে রাতে মিমের শ্বাশুড়ী ও ননদসহ তার জামাতা ইমন মিলে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে এলোপাতারী মারধর করেন।

পরে সকালে ওই গৃহবধু নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহবধুর বাবা মোসলেউদ্দিন চকিদারের দাবি, মেয়ে শ্বাশুরী ও ননদসহ জামাতার মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে মিম আত্মহত্যা করেছেন। তিনি এই হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

শশীভূষণ থানার উপপরিদর্শক মো. মিজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিক সুরাতহালে তার গালের চোয়ালে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

  • এম. ফাহিম/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নিহত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর