নরসিংদীর মাধবদীতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাইনাদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নরসিংদীর ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- নরসিংদী সদর উপজেলার নূরালাপুর ইউনিয়নের রাইনাদী গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে সিয়াম মিয়া (২২), আলতাফ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও রবিউল ইসলামের ছেলে অটোচালক ফাহিম মিয়া (৩০)।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে তারা তিনজন মাধবদী থেকে রাইনাদীতে আসছিলেন। তারা মহাসড়ক পাড় হওয়ার সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত দুইজনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকি একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, দ্রুত গতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুইজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) মাধবদী থানা শাখার সভাপতি শাওন খন্দকার শাহিন নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২২ অক্টোবর আমরা জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করেছি। তখনই চালকদের সতর্ক করা হয়েছিল যে, জীবিকার জন্য মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। একটি দুর্ঘটনা মানে একটি পরিবারের সারাজীবনের কান্না। আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হোক, যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।
সুমন রায়/এমবি

