ছবি : এআই দিয়ে তৈরি
চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় গত ১৪ মাসে সন্ত্রাস ও বিভিন্ন দ্বন্দ্বে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রাউজানে ১৭ জন এবং রাঙ্গুনিয়ায় ১৪ জন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার মূল কারণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও পারিবারিক বিবাদ।
রাউজানে গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ২৮ আগস্ট আব্দুল মান্নানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর মো. ইউসুফ মিয়া, ২৯ অক্টোবর আজম খান এবং ১১ নভেম্বর আবু তাহের নিহত হন। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৫ মার্চ কমরউদ্দিন জিতু ছুরিকাঘাতে নিহত হন। ৬ জুলাই স্ত্রী ও কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন রাজনৈতিক হিংসার শিকার।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেক হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হচ্ছে, তবে পারিবারিক বিবাদ বা তুচ্ছ বিরোধের কারণে হঠাৎ হত্যাকাণ্ডও ঘটছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।’
রাঙ্গুনিয়াতেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। ১৫ জানুয়ারি গৃহবধূ জরিনা বেগম নিহত হন। ২৫ মার্চ নিজ দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নুরুল ইসলাম তালুকদারকে। ১০ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়াইমং মারমাকে। ৬ জুন গোডাউন গরুর বাজারে শ্বশুরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৭ আগস্ট রাঙ্গুনিয়ার সন্ত্রাসী রুবেলকে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বিরোধের কারণে হত্যা করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর লালানগরের মসজিদের পাশে মো. খোরশেদ আলমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া ও রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘পুলিশ পুরো উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে কাজ করছে। সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের সহযোগিতাও জরুরি।’
- এএনএম সানাউল্লাহ/এমআই

