লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদকে তলব
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৪
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেনসহ ৩৯ জনের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ধারা ১৯ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ২০ অনুযায়ী রেকর্ড/তথ্য সরবরাহ করতে হবে। চলতি মাসের ১৪ তারিখে দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক বরাবর ০০.০১.০০০০.৭১৮.০১.০০৫.২৪ স্মারকে অভিযোগ সংক্রান্ত অনুসন্ধানের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে কর নির্ধারক আব্দুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম, মোহাম্মদ ইসহাক, নক্সাকারক এবিএম আশ্রাফ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বজনসহ ৩৯ জন।
১৪ অক্টোবর দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ৩৯ জন ব্যক্তির নামে কোন নাল জমি, ভিটা-বাড়ি, প্লট, দোকান, ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য ক্রয়-বিক্রয়ের ভিত্তিতে কোনো নামজারি বা খতিয়ান সৃষ্টি হয়ে থাকলে সেই তথ্যাদির ছায়ালিপি দুদকের অনুসন্ধানকারীর কাছে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো চিঠিও পাইনি। উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম বলেন, আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলছে; আমরা তা জমা দেব এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে আমরা সহযোগিতা করছি।’
লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে অজানা। দাপ্তরিকভাবে এখনো কোন চিঠি আমার কাছে আসেনি।’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অফিস আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এ সম্পর্কে জানার জন্য লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
এমআরটি/এনএ

