সান্তাহার পৌরসভায় সেবা নিতে গেলেই ভোগান্তি
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একমাত্র সান্তাহার পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের। প্রয়োজনীয় সেবা নিতে গেলেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভাটি ২০১৭ সালে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ১০ দশমিক ৫৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে সারাদেশের মতো এখান থেকেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা সান্তাহার পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন।
সরেজমিনে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়— অনেক সড়কই খানাখন্দে ভরা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো, ফলে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্রায় ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক খুঁটির বাতি নষ্ট, পৌর পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও নাজুক। পৌর কার্যালয়ে গিয়ে সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।
চা–বাগান সিভিল কলোনির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মর্তুজা সেলিম বলেন, ‘এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব খারাপ। ড্রেনের পানি উপচে পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।’
পৌর এলাকার বাসিন্দা বাধন হোসেন বলেন, ‘এক মাস আগে পৌর কার্যালয়ে পারিবারিক বার্ষিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র নিতে গিয়েছিলাম। ভুল ফরম দেওয়া হয়, পরে সংশোধন করে জমা দিলেও এখনো পাইনি। ট্রেড লাইসেন্স করতেও নানা অজুহাতে কাগজ নেয়নি দপ্তর। দ্রুত সেবা দেওয়ার নামে অনেক কর্মচারী অতিরিক্ত অর্থও নিচ্ছেন।’
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মণ্ডল বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর না থাকায় অভ্যন্তরীণ কাজ একা সামাল দেওয়া কঠিন। অভিযোগ পাওয়া গেলে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
বিভিন্ন নাগরিক সেবা বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনলাইন জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লাগছে।’ বৈদ্যুতিক খুঁটির বাতি সম্পর্কে তিনি জানান, প্রায় ২ হাজার ৭০০ বাল্ব লাগবে, এখন আছে মাত্র ৮০০। বাকি বাল্ব পেলেই সব খুঁটির বাতি প্রজ্বলিত করা যাবে।
রাকিবুল হাসান/এইচকে

