Logo

সারাদেশ

মানিকগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার রমরমা কমিশন বাণিজ্য

Icon

আফ্রিদি আহাম্মেদ, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৮

মানিকগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার রমরমা কমিশন বাণিজ্য

‎মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্প থেকে ১০ শতাংশ হারে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

‎অনুসন্ধানে জানা যায়, শিবালয় উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের সভাপতি বা প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর কাছ থেকে প্রতি প্রকল্পে লাখে ১০ শতাংশ কমিশন নেওয়া হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৭ নং শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি ল্যাপটপ ক্রয় এবং পরিষদ ভবন সংস্কার বাবদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসে।

তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকায়। এই প্রকল্প থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী প্রতি লাখে ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছে এবং তার গ্রহণ করা এই ২ লক্ষ টাকা প্রকল্পের কমিশন দাড়ায় মোট ২০%। এই কমিশন না দিলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কারীকে। এছাড়া শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আসা সরকারি প্রকল্প থেকে জনপ্রতিনিধি বা প্রকল্প বাস্তবায়নকারীকে দিতে হয় লাখে ১০ % কমিশন। প্রকল্পগুলো নয়-ছয় হওয়ার পেছনে এই কমিশন বাণিজ্য অন্যতম কারণ।

‎৭ং শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান বলেন, প্রত্যেক প্রকল্প থেকে পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা)  প্রতি লাখে ১০ শতাংশ কমিশন নেন। এই কমিশন না দিলে আমাদের বিভিন্ন রকম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তাই ২ লক্ষ টাকার প্রকল্প ১ লক্ষ ৬৬ হাজারে বাস্তবায়ন হয়েছে। পিআইও কে কমিশন না দিলে হয়তো কাজ গুলো ভালো ভাবে করা যেত। আমরা পিআইও এর কাছে অসহায়,তিনি যা বলেন আমাদের তাই পালন করতে হয়।

‎নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য (মেম্বার) বলেন, আপনারা সাংবাদিক সবই বুঝেন। আপনাদের মিথ্যা বলে লাভ নাই।আসলে আমরাও পিআইও এর কাছে নিরুপায়, প্রতি লাখে ১০ শতাংশ কমিশন না দিলে বিভিন্নরকম অসুবিধার মধ্যে পরতে হয়।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবালয় উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরীর বলেন, আমি কাজ বুঝে বিল দিয়েছি।আমরা ১০ হাজার ৫ হাজার এভাবে হিসেব করি না। একটা প্রকল্প দেখে আপনি হিসেব করতে পেরেছেন। আমরা যখন ১০০ টা প্রকল্প দেখি এগুলা হিসেব করা সম্ভব না।

‎১০ শতাংশ কমিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দিবে। কারো অভিযোগ থাকলে ডকুমেন্টস দেখাক বা তাকে আমার সামনে নিয়ে আসেন। আপনার যেটা মনে হয় আপনি করেন।

‎এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এসডি/আইএইচ 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

দুর্নীতি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর