‘এনসিপি’ পরিচয়ে মির্জা আজমের জমি দখলের চেষ্টা, জনতার ধাওয়ায় পলায়ন
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৩
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের জমি জবরদখল করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে গেছে নিজেদেরকে এনসিপি নেতাকর্মী দাবি করা কতিপয় ব্যক্তি। এ সময় তারা ভেকু মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল ফেলে গেছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে জামালপুর জেলার মেলান্দহের সাবেক কুহেলী সিনেমা হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালের দিকে মেলান্দহের হাজী হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে মির্জা আজম ১ একর ২৫ শতাংশ জমি কেনেন। এর আগে এই জমিতে কুহেলী সিনেমা হল ছিল। মির্জা আজম জমি কেনার আগেই সিনেমা হলটি বিলুপ্ত হয়। এরপর মির্জা আজমের ক্রয়কৃত জমিটি চারপাশে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালের দিকে মেলান্দহের এনসিপি নামধারী কিছু নেতাকর্মী জমিটি জবরদখল করতে ভেকু মেশিন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তারা জমির সামনের গেটের তালা ভেঙে ভেকু মেশিন প্রবেশ করান। এরপর ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ডাম্পট্রাকে করে অন্যত্র সরিয়ে নিতে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা উপস্থিত হয়ে প্রথমে বাধা দেয়। কিন্তু তারা পাত্তা দেননি। পরে স্থানীয় জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এনসিপি নেতাদের ধাওয়া দিলে তারা ভেকু মেশিন রেখে পালিয়ে যান। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে এনসিপি জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক শাহ মো. খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মেলান্দহে মির্জা আজমের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনার সাথে এনসিপির কেউ জড়িত না। তিনি শুনেছেন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য হতে পারে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে এনসিপি কখনো সমর্থন করে না।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এনসিপি নেতাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজন মির্জা আজমের জমিতে মাটি কাটতে গেলে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়েছে।

