Logo

সারাদেশ

জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ ৮ মাস

জেলেদের ক্ষতিপূরণে কী উদ্যোগ?

Icon

জেআই জুয়েল, বরিশাল

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৬

জেলেদের ক্ষতিপূরণে কী উদ্যোগ?

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ইলিশ প্রজননকালে আহরণ, পরিবহন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আজ (১ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে পুনরায় জাটকা মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার ৩৪৩ বর্গকিলোমিটারে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত জাটকার ওপর আট মাসের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

বরিশালসহ দেশের ছয় জেলায় এই নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উপকূলীয় এলাকায় প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ শনিবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশের খবরকে মুঠোফোনে জানান, জেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই অভিযান কঠোরভাবে নজরদারি করবে।

তিনি আরও জানান, জাটকা আহরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য সরকার প্রতি পরিবারকে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে। জেলেরা সাধারণত এই চাল পাবেন ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাস পর্যন্ত।

পহেলা নভেম্বর থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও বরফ কল মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় পোস্টার ও ব্যানার ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে অসাধু মৎস্যজীবীরা জাটকা ইলিশ ধরতে না পারে।

বরিশাল জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে আগৌলঝাড়া ব্যতীত ৯টিতে মোট জেলের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৬২৩ জন। বিশেষভাবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বকরজা, চরশেফালী, ভাষানচর ও চর খেজুরিয়া নদীতে এই আট মাসে জাটকা বেশি পাওয়া যায়। এসব নদীতে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বরিশাল বিভাগের মৎস্য পরিচালক কামরুল হাসান জানান, মা ইলিশ রক্ষায় জেলার ছয়টি জেলায় জেলেদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গেজেট অনুমোদনের পরে বরাদ্দ ৪০ কেজি ভিজিএফ চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়া বাউফল, ভোলা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিন, তেঁতুলিয়া ও বিষখালী নদীতে বড় ফাঁসের জাল ছাড়া অন্য কোনো জাল ব্যবহার করা যাবে না। কারেন্ট জাল এবং ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকবে।

একজন স্থানীয় জেলে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরের মো. জালাল (৫৫) জানান, ‘নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আমরা নদীতে যেতে পারবো না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৮ মাসের। তবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে ৪০ কেজি চাল দেওয়া হবে, তা সংসারের খরচ মেটাতে যথেষ্ট নয়। সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ, চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ দেওয়া হলে আরও সুবিধা হবে এবং অভিযানের ভেতরে আমাদের আর মাছ ধরতে যাওয়া লাগবে না।’

মৎস্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার মাধ্যমে মা ইলিশের প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।


প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইলিশ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর