Logo

সারাদেশ

মেহেরপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

Icon

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৭

মেহেরপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের অফিসে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) হামলা চালিয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা। ঘটনায় গাংনী উপজেলা শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার পর থেকে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ইটপাথর নিক্ষেপ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমজাদ হোসেনের অফিসের সামনে ১১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে আমজাদের সমর্থকরা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিস ভাঙচুর করে এবং চেয়ার-টেবিলে অগ্নিসংযোগ করে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুন ও মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে মনোনীত করেন। এ ঘোষণার পরই গাংনীতে উত্তেজনা তৈরি হয়।

ঘটনায় সামিল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম।

সাবেক সংসদ সদস্য ও মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা অফিসে উপস্থিত অবস্থায়ই হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের অফিসের সাইনবোর্ড ছিড়ে ফেলা হয়েছে এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। সামাদ হোটেলের ভেতরও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

অন্যদিকে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা দাবি করেন, তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলেন এবং মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু আমজাদের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর একটি টিম টহল জোরদার করেছে।’ 

  • আকতারুজ্জামান/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিএনপি সংঘর্ষ হামলা ও ভাংচুর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর