Logo

সারাদেশ

দেশ ভ্রমণের সুযোগ : ৪ তরুণের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’

Icon

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৫

দেশ ভ্রমণের সুযোগ : ৪ তরুণের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

 ​ভ্রমণ মানেই কি কেবল উচ্চবিত্তের বিলাসিতা? এই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিয়ে ভ্রমণকে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার এক দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে ফরিদপুর অঞ্চলের চার তরুণ উদ্যোক্তা। ফরিদপুর, মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার ভ্রমণপিপাসুদের জন্য স্বল্প বাজেটের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখানোর প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করা এই ট্রাভেল এজেন্সির নাম- 'পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস'।

জানা গেছে, চলতি বছরেরই গত ১ জুলাই চার বন্ধু- মো. শামীম খাঁন, মো. আল-আমিন, মুক্তাদির রহমান ও সিয়াম আহমেদের হাত ধরে এই ট্রাভেল এজেন্সির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই টাঙ্গুয়ার হাওর, দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতে মোট চারটি সফল ইভেন্ট সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ভ্রমণপিপাসুর আস্থা অর্জন করেছেন। শুরু থেকেই ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’ তাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল। তাদের সফল ইভেন্টগুলোর প্যাকেজ মূল্য প্রমাণ করে যে, মানসম্মত ভ্রমণও হতে পারে অত্যন্ত সাশ্রয়ী।

প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কর্ণফুলী ও এমডি-১২ আউলিয়া জাহাজের অথরাইজড এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যা তাদের পরিষেবার মানকে আরও পেশাদার করে তুলেছে। ফরিদপুর অঞ্চলের বাইরে মাগুরা, কুষ্টিয়া, খুলনা, নড়াইল এবং ঢাকা থেকেও বহু ভ্রমণপিপাসু ইতিমধ্যে এই এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করেছেন। কম খরচে মানসম্মত ভ্রমণের সুযোগ দেওয়ায় 'পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস' দ্রুতই এই অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের প্রতিটি ইভেন্ট সঠিক ও সুস্থভাবে শতভাগ সফল হয়েছে এবং ভ্রমণকারী ফ্যামিলি, কাপল ও সিঙ্গেল পর্যটকরা ছিলেন দারুণ সন্তুষ্ট।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে পরিবার নিয়ে ভ্রমণকারী মো. মহসিন শেখ বলেন, ‘এত কম খরচে, পুরো পরিবার নিয়ে সাজেক গিয়ে আরামদায়ক হোটেলে থাকতে পারব ভাবিনি। বাসের সিট থেকে শুরু করে খাবারের মান-সবকিছুই চমৎকার ছিল। বাচ্চাদের নিয়ে নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা গেছে।’

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে কাপল ভ্রমণকারী জানান, সাজেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। প্যাকেজের ভেতরে বাম্বু চিকেন ও বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা ছিল অপ্রত্যাশিত। 

আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধুলজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রসাদ রায় জানান, আমি সিঙ্গেল ট্রাভেলার হিসেবে জয়েন করেছিলাম। টিমের সবাই এত হেল্পফুল ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে একা থাকার অনুভূতি দূর হয়ে গিয়েছিল। তাদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করেছে।

পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলসের প্রতিষ্ঠাতা মো. শামীম খাঁন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাজেটকে যেন কারো ভ্রমণের পথে বাঁধা হতে না হয়। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষজন আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন। ফ্যামিলি থেকে শুরু করে সিঙ্গেল ভ্রমণপিপাসু-সবাই আমাদের সাথে আছেন।’

  • মিয়া রাকিবুল/এমআই
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর