ঝিনাইদহে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গণপিটুনির পরে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ সময় যুবলীগ নেতার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা এলজিইডি'র জেলা কার্যালয়ে আসেন। এসময় ছাত্রদের একটি গ্রুপের সঙ্গে যুবলীগ নেতার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উপস্থিত ছাত্র-জনতা যুবলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে গণপিটুনি দেয়। এসময় একটি প্রাইভেটকারে ভাংচুর চালায় তারা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে পৌছে যুবলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ছাত্র নেতারা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, শামীম হোসেন মোল্লা বহু অপকর্মের সাথে জড়িত। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় সে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্য ও লুটপাট করেছে। সে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গোপনে গোপনে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিভিন্নভাবে আবারো সযোগিতা করছে। তাকে এলজিইডি অফিসে পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গণধোলাই দেয়। শামীম হোসেন মোল্লাকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গণধোলাই দিয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আমরা শামীম হোসেন মোল্লাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করি।

এদিকে যুবলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা জানান, ঝিনাইদহ শহরের পূবালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে তিনি নামাজ পড়তে ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসে যান। এ সময় জনতা তাকে ব্যাপক মারপিট করে রক্তাক্ত করে এলজিইডি একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। তার ব্যবহৃত গাড়িটিও আন্দোলনকারীরা ভেঙে ফেলে। পরে  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৭৪ হাজার টাকা ও চেক উদ্ধার করে। বাদবাকি টাকার কোনো হদিস নেই বলে জানান তিনি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবলীগ নেতাকে নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, শামীম মোল্লার গাড়ি থেকে আমরা মাত্র ৭৪ হাজার টাকা ও একটি চেক উদ্ধার করেছি। বাকি টাকার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। চিকিৎসা শেষে শৈলকুপা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।

এম বুরহান উদ্দীন/আইএইচ