বরগুনায় ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ লুট, এলাকায় চাঞ্চল্য
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরগুনার আমতলী উপজেলায় নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ লুট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে, দিবালোকে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ। তবে তালতলী, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার কিছু জেলে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে মাছ শিকার করছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চারটি পরিবহন গাড়িতে জাটকা ইলিশ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছিল। নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের সদস্যরা জব্দ করে মাছ আমতলী থানায় মজুদ করেন।
কর্মকর্তাদের পরিকল্পনায় বিকেলে ৫০টি এতিমখানায় মাছ বিতরণ করা হচ্ছিল। কিন্তু এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ দুই শতাধিক মানুষ থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে জব্দকৃত মাছ লুট করে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা বলেছেন, উপজেলা প্রশাসন যদি সঠিকভাবে মাছ বিতরণ করত, এমন ঘটনা হতো না।
উত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হওয়া খুবই দুঃখজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি আমরা করছি।’
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে ছিলাম। জব্দকৃত ১৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ করার সময় শতাধিক অপরিচিত ব্যক্তি এসে মাছ লুট করেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘জব্দকৃত মাছের অর্ধেক সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়েছে, বাকি অর্ধেক মানুষ নিয়ে গেছে। ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত জায়গা। তারপরও যদি লুট হয়ে থাকে, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খান নাঈম/এআরএস

