Logo

সারাদেশ

কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫

আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৪১

কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপি নেতা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে  সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কমিটি বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে, যাতে ফরিদপুর-১ এলাকায় রাজনৈতিক বিভাজন ও অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম স্থানীয় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের দলে যোগ করিয়ে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদে বসাচ্ছেন। এছাড়া তিনি কমিটি বাণিজ্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে দলের একতা ভেঙে দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। এতে ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও বিভক্তি বেড়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট মধুখালীতে বিএনপির এক শান্তি মিছিলে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নির্দেশে তার অনুসারীরা হামলা চালিয়ে একাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগও আছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল খন্দকার অভিযোগ করেছেন, নাসিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা তার জমি দখল ও সম্পদ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন এবং নির্বাচনের সময় বিএনপির হয়ে দাঁড়াতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। এছাড়া সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে হামলা চালানো এবং সম্পদ ভাঙচুর করার অভিযোগও রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম অতীতে ছয়বার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে, পরে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগে ছিলেন এবং বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, এমন বিতর্কিত নেতাদের দলে আনার কারণে ফরিদপুর-১ এলাকায় বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের মাধ্যমে সংগঠন পুনর্গঠন জরুরি।

অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ (রিংকু) এবং ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

এসব অভিযোগ বিষয়ে নাসিরুল ইসলামের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’

এমএইচএস 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর