ছবি : বাংলাদেশের খবর
তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের হিমকন্যা পঞ্চগড়ে। বিদায় নিচ্ছে হেমন্তের কার্তিক মাস। ১৮ থেকে ১৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে শীতল তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায় রাতভর অনুভূত হচ্ছে শীতের পরশ। শীত অনুভব করছে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ের আপামর মানুষ।
রোববার (৯ নভেম্বর) ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সবুজ ঘাসের ডগায় চিকচিক করছে হিমেল শুভ্র শিশির। ভোর-সকালে মিষ্টি রোদে প্রকৃতিতে দেখা যায় হালকা কুয়াশা। দিনের তাপমাত্রায় গরম অনুভূত হলেও রাত বাড়তে থাকলে শীতল হয়ে উঠে পরিবেশ। স্থানীয়রা গায়ে নিতে শুরু করেছেন লেপ ও কম্বল।
স্থানীয় হোসেন আলী, আলমগীর হোসেন ও আব্দুল খালেক জানান, শীত পড়ে গেছে। দিনে যেমন তেমন। রাতে ঠান্ডা পড়ছে। এখনই লেপ নিতে হচ্ছে। কার্তিক মাস বিদায় নিতে চলেছে। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে শীত পড়ে যাবে। ভোর পর্যন্ত শীতের পরশ অনুভব হচ্ছে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে দেরি আছে।
জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এলাকাটির নিকটস্থ পৃথিবীর দুই সুউচ্চ পর্বতমালা হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা। বরফের পাহাড়ও বলা হয় এ পর্বতযুগলকে। এ কারণে পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় শীতকালে নেমে যায় তাপমাত্রার পারদ। ফলে এ অঞ্চলে বছরের গরমের তুলনায় শীতের আমেজ বেশি থাকে। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এ অঞ্চলে শীতও পড়ে আগে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘এ অঞ্চল শীতের জেলা হিসেবে পরিচিত। আজ রোববার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ১৮ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শীত বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।’
- এসকে দোয়েল/এমআই

