Logo

সারাদেশ

কুমিল্লায় যানজট নিরসনের নামে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫২

কুমিল্লায় যানজট নিরসনের নামে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসনের নামে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রায় ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১০ এপ্রিল ২০২৪ সালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যানজট নিরসন কমিটির বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিনের সভাপতিত্বে উপস্থিতদের সামনে অটোরিকশা চালকদের পোশাক, বাঁশি ও চেকপোস্ট তৈরি করার নামে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়।

ব্যবসায়িক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ শাখার ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ এবং অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি ও তাদের সহযোগী আরও পাঁচজন ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতিজন ৪০০ টাকা করে সংগ্রহ করেন।

অভিযোগকারীদের দাবি, এইভাবে ধাপে ধাপে মোট ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করা হলেও এখনও কোনো পোশাক বা বাঁশি দেওয়া হয়নি এবং টাকা ফেরতও দেওয়া হয়নি।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, টাকা ফেরত চাওয়া শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাদের অটোরিকশা আটক করে অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকারও বেশি আদায় করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, না হলে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত বা প্রতিশ্রুত পোশাক ও বাঁশি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন এরশাদ, জাহাঙ্গীর, বাবুল, জাহিদ, আ. বারেক ও আলামীনসহ একাধিক অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক।

টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে মুজাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ট্রাফিক বক্স তৈরি করা হয়েছে। বাঁশি বা পোশাক প্রতিটি সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে করার কথা ছিল। আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পাইনি এবং কাউকে দিয়েওনি।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘মুজাহিদসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের ডিসি অফিসে ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ‘অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর