Logo

সারাদেশ

সীতাকুণ্ডে বন উজাড় করে অবৈধ মাছের ঘের, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

Icon

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩২

সীতাকুণ্ডে বন উজাড় করে অবৈধ মাছের ঘের, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে অসংখ্য অবৈধ মাছের ঘের গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শত শত একর বন উজাড় হয়ে পড়েছে। এতে জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে এবং এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি চক্র ভুয়া মালিকানার কাগজ দেখিয়ে বা সরকারি জমিতে ইজারার নামে এসব ঘের পরিচালনা করছে। বরবকুণ্ড, মুরাদপুর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে উত্তরাধিকার বা ইজারার দাবিতে সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে মাছের প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগের পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বন উজাড়ের কারণে উপকূলীয় সুরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় গ্রামগুলো এখন আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এক সময়ের সবুজ ঝাউ ও কেওড়া ম্যানগ্রোভ বন আজ বিলুপ্তির পথে, যা পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক বলেন, ‘বনভূমিতে মাছ চাষের কোনো অনুমতি বা লিজ দেওয়া হয়নি। আমাদের বোর্ডের আওতাধীন দুটি এলাকা মাছের ঘেরের জন্য উপযুক্ত নয়।’

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট ডিএফওর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ‘বনভূমিতে মাছের ঘের করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বন বিভাগ জমি পুনরুদ্ধার ও পুনঃবনায়ন কার্যক্রমে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।

মোহাম্মদ জামশেদ আলম/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর