বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আপন চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এতে একই পরিবারের চারজনসহ অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলার ঘটে ।

আহতরা হলেন— উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মিজান সরদার (২৪), তার ভাই স্বপন সরদার (২৭), পিতা জাকির সরদার (৬৬), মাতা মাসুমা বেগম (৬১), স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর (৫৫) এবং আরও অনেকে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মিজান সরদার অভিযোগ করেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মৃত জাফর চৌধুরীর ছেলে আপন চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে আমাদের পরিবারের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে, ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পরপর কয়েকবার ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’

মিজান সরদার আরও জানান, হামলায় অংশ নিয়েছেন একই এলাকার আবুল কাশেম, তার ছেলে রিয়ন, ভায়রা রফিক, রিয়াজ, আসলামের ছেলে হৃদয়, মৃত বারেকের ছেলে ইসমাইল, মৃত আলতাবের ছেলে পারভেজ, বিউটির ছেলে শুভ, ইসলাম নগরের শহীদের ছেলে অপু, মৃত হাসানের ছেলে আরাফাত, অলির ছেলে আসলাম, মোহাম্মদপুরের আলমাস, সজল ও সজীবসহ ২০-২৫ জন।

তিনি দাবি করেন, স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা কাউনিয়া থানা পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প কমান্ডারকে অবহিত করেন।

মিজান সরদার বলেন, ‘আপন চৌধুরী বাবুর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে গ্রেপ্তার, পরিবারের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আপন চৌধুরী বাবু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কেউ কেন হামলা চালাবে তা বুঝতে পারছি না। মামলা না নিতে চাপ প্রয়োগের কোনো বিষয় নেই। এটি থানা পুলিশের বিষয়।’

কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘হামলার খবর শুনেছি। দু’একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেআই জুয়েল/এআরএস