তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জনতার
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০১
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরী স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় স্থানীয় জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। ধর্ষকের ফাঁসির সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শালবাহান বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে স্থানীয় শতশত মানুষ অংশ নেন। এতে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গ্রামবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা ‘আমার মেয়ের কান্না আর নয়, আমার বোনের কান্না আর নয়, ধর্ষকের শাস্তি ফাঁসি চাই’ এরকম স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তিরনইহাট ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর, মৌলভী শিক্ষক সোহরাব আলী, ভুক্তভোগী কিশোরীর দুলাভাই জামিলসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা ও শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, সমাজে এ ধরনের অন্যায় কখনো সমর্থন করা যায় না। সকলেই একযোগে দাঁড়ালে অপরাধীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত আব্দুস সোবাহান একজন অসহায় পাথর শ্রমিকের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অতীতে বহু অভিযোগ থাকলেও তিনি দমন-নিপীড়ন চালিয়ে আসছিলেন। বক্তারা বলেন, ‘সোবাহান কালো যাদু ব্যবহার করেও এ ধরনের অপরাধ চালাচ্ছে।’
জানা যায়, ঘটনা ঘটেছে গত ৪ এপ্রিল। তিরনইহাট ইউনিয়নের রওশনপুর এলাকার ৫৭ বছর বয়সী আব্দুস সোবাহান ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীকে প্রাণনাশসহ নানা হুমকি দিয়ে তা কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ঘটনার প্রভাবে কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সুবিচারের জন্য তৎপর ছিলেন। অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার রাতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছিল। ঘটনার পর পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। আব্দুস সোবাহান রওশনপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, ভিকটিম কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসকে দোয়েল/এআরএস

