বোয়ালমারীতে বিএনপি বনাম বিএনপি : ৫ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫০
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১৪
ছবি : সংগৃহীত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৮৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর রাতে। সংঘর্ষের পর শনিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মোট ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও প্রায় ৬৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের দায়ের করা মামলায় খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসিরপন্থী পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে।
তারা হলেন—
১. কামাল আহমেদ, শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি মামলায় ২২ নম্বর আসামি। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হওয়েছিলেন। তবে বর্তমানে বিএনপির কোনো পদে না থাকলেও খন্দকার নাসিরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
২. মোশাররফ হোসেন মুশা, দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার ১১৩ নম্বর আসামি। তিনি খন্দকার নাসিরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
৩. এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, গুনবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার ৬ নম্বর আসামি। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত ‘বিতর্কিত’ কমিটির সভাপতি।
৪. মিজানুর রহমান সোনা মিয়া, রূপপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার ১৫০ নম্বর আসামি। তিনি নবগঠিত উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক। অভিযোগ আছে, তিনি সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের এক সময়ের ক্যাশিয়ার ছিলেন।
৫. রাফিউল আলম মিন্টু, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার ১১২ নম্বর আসামি। তিনি নাসির গ্রুপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। মনোনয়ন নিয়ে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতাই সংঘর্ষের মূল কারণ বলে দেখা হচ্ছে।

