ছবি : বাংলাদেশের খবর
পঞ্চগড়ে ১২ ডিগ্রির ঘরে নামল তাপমাত্রা। এতে করে ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। শীত ঘিরে নবান্নের আমেজও শুরু হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড হয়েছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্য জানিয়েছে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার আবরণে ঢেকে আছে চারপাশ। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও হিমশীতল বাতাসে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে হিমেল শিশির। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দিনের তাপমাত্রা। এতে দিনভর গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পরিবেশ হয়ে ওঠে শীতল। স্থানীয়রা গায়ে নিতে শুরু করেছেন লেপ ও কম্বল।
স্থানীয় হোসেন আলী ও আমির আলী জানান, রাতে বেশ ঠান্ডা লাগছে। দিনে তেমন একটা নয়, তবে সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা পড়ছে। রাতে লেপ নিতে হচ্ছে। অগ্রহায়ন মাস পড়লেই পুরোদমে শীত পড়বে। ভোর পর্যন্ত শীতের পরশ অনুভব হচ্ছে।
জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এ জেলার নিকটেই পৃথিবীর দুই সুউচ্চ পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা অবস্থিত। বরফে ঢাকা এ পর্বতযুগল থেকে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীতকালে তাপমাত্রার পারদ নেমে যায়। ফলে এ অঞ্চলে বছরের গরমের তুলনায় শীতের আমেজ বেশি থাকে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানকার শীতও পড়ে আগে।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। এতে শীতের মাত্রা বাড়ছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। কয়েক দিন ধরেই ১৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শীত বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।
এসকে দোয়েল/এমএইচএস

