Logo

সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনবিহীন কারখানা থেকে ভেজাল কোমলপানীয় ও শিশুখাদ্য জব্দ

Icon

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০:১৩

সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনবিহীন কারখানা থেকে ভেজাল কোমলপানীয় ও শিশুখাদ্য জব্দ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনহীন মল্লিক এগ্রো ফুড এন্ড ভেবারেজ কারখানার গোডাউন থেকে ভ্রাম্যমান আদালত বিপুল পরিমাণ ভেজাল কোমলপানীয় ও শিশু খাদ্য জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিমাইকাশারী ক্যানেলপাড় এলাকায় জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে নরাপদ খাদ্য আইনের অধীনে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

জব্দকৃত পানীয়ের মধ্যে রয়েছে বোতলজাত ম্যাংগু জুস, এনার্জি ড্রিংক, লাচ্ছি, সাদা পানি এবং শিশু খাদ্য আইস ললি। ভ্রাম্যমান আদালত গোডাউনে থাকা এসব পণ্য জনসম্মুখে ধ্বংস করার পাশাপাশি আরও বিপুল পরিমাণ কোমলপানীয় ও শিশুখাদ্য জব্দ করে গোডাউনটি সিলগালা করে বিল্ডিং মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে অভিযান সম্পর্কে অবগত হয়ে মালিকপক্ষের লোকজন সটকে পড়েছিল।

অভিযানের সময় সরকারী কাজে অসহযোগিতার অপরাধে দণ্ড বিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মান্নান (৩৯) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিমাইকাশারীর আব্দুল জব্বার মল্লিকের ছেলে মো. হেলাল মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিষ্ঠানের আড়ালে ভেজাল খাদ্য তৈরি ও বাজারজাত করে আসছিল।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দেখা যায়, একটি গোডাউনে অবৈধভাবে এনার্জি ড্রিংক ও শিশু খাদ্য তৈরি করা হচ্ছিল। এগুলোর কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। তারা অবৈধভাবে উৎপাদন করে আসছিল, তাই আইনের আওতায় এনেছি। উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন্নাহার জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনবিহীন ম্যাংগো ড্রিংক, অরেঞ্জ ড্রিংক, লিচি ড্রিংক, আইস ললি, পানি, লাচ্ছি, চকলেটসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেবেল ব্যবহার করা হতো। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, অননুমোদিত রঙ, ফ্লেভার, হাইড্রোজসহ প্রায় ৪৬০ কার্টুন অননুমোদিত পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। কারখানার মালিক ও ম্যানেজারকে পাওয়া না যাওয়ায় নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে পুলিশের দুইটি চৌকস দল সার্বিক সহযোগিতা করেছে।

ইমতিয়াজ/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর