বরিশালে হাফ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থী-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১১
বরিশালে হাফ ভাড়া ইস্যুতে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরিশালে হাফ ভাড়া ইস্যুতে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলার পর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় মুলাদী থেকে বরিশালগামী একটি বাসে এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসস্টাফরা আপত্তি করে। বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিএম কলেজ ও হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে জড়ো হয়ে এর বিচার দাবি করেন। এ সময়ই শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিবহন শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা বলেন, হাফ ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েকশ শিক্ষার্থী হঠাৎ করে স্ট্যান্ডে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করেছে। সেখানে থাকা ১৫-২০ জন শ্রমিক মারধরের শিকার হয়েছেন।
এদিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, হাফ ভাড়া তাদের বৈধ অধিকার। মুলাদী রুটে শিক্ষার্থী আবু বক্করকে বাসস্টাফদের মারধরের খবর পেয়ে তারা টার্মিনালে প্রতিবাদ জানাতে গেলে শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে টার্মিনালে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চলে। কিছু স্থানে অগ্নিসংযোগও করা হয়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল বলে জানা যায়।
উত্তেজনার কারণে নথুল্লাবাদ হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি কাজে থাকা যাত্রী ও শ্রমিকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। বিস্তারিত তদন্তের পর জানানো হবে। এ ঘটনার পরপরই নথুল্লাবাদ টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজী আরিফুর রহমান/এমবি

