আলমডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে আহত ১১
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী ইউপি সদস্যসহ ১১ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় যুবদলের দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিএনপি কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য সাজাহান ও আলিম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন এবং তার স্বামী রাশিদুল ইসলাম।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আহত হয়েছেন মুরাদ আলী, আরিফ, লাল্টু, ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার বিকেলে শ্যামপুর এলাকায় দলীয় প্রতীক টাঙাতে গেলে বিএনপি নেতা রাশিদুলের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিষয়টি দ্রুত হাতাহাতিতে রূপ নিলে পৌর যুবদলের কয়েকজন কর্মী জামায়াত নেতা ওল্টুর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। এরপর জামায়াতের দলীয় লোকজনও পাল্টা আক্রমণে নামলে পরিস্থিতি পুরোপুরি সংঘর্ষে পরিণত হয়।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনা নিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন বলেন, ‘জামায়াতের আশ্রিত যুবলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
অপরদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল দাবি করেন, ‘আমাদের লোকজন প্রতীক টাঙাতে গেলে বিএনপির ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বাধা দেয়। এরপর বিএনপিরই লোকজন আগে বাড়িতে গিয়ে হামলা করে, ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে।’
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।’
ফেরদৌস ওয়াহিদ/এআরএস

