নীলফামারীতে প্রাণঘাতী সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রাণঘাতী সড়কে পরিণত হওয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) মানববন্ধন করেছে। একই সঙ্গে তারা উত্তরা ইপিজেড চলাচল সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সহযোগিতায় নীলফামারীর ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের উদ্যোগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সনাক-ইয়েস গ্রুপের পক্ষে দাবিসম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মানববন্ধনে সনাক সভাপতি মো. আকতারুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর আলম, ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মেসবাহুল হক, জেলা ট্রাক-মালিক সমিতির সেক্রেটারি মোর্শেদ আজম, সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রিয়তা সাহা প্রমুখ।
ইয়েস গ্রুপের আহ্বায়ক তাহমিনুল হক ববী বলেন, সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় থেকে নীলফামারী জেলা শহর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। উত্তরা ইপিজেড এলাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করায় সড়কটিকে দুর্ঘটনার “হটস্পট” হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
সনাক সভাপতি বলেন, ‘সড়কপথে সুশাসনের অভাব ও কার্যকর মনিটরিং না থাকায় দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’
ইয়েস দলনেতা ফারজানা আক্তার আরিফা বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাম্প্রতিকসহ সকল দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করা, স্থায়ী ডিভাইডার স্থাপন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ‘দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা’ ঘোষণা করে সাইনপোস্ট স্থাপন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের সামনে গতিরোধক স্থাপন এবং চালকদের সতর্কীকরণ নির্দেশক স্থাপনসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এআরএস

