বান্দরবানে ৭ কোটি টাকার সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫২
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বান্দরবান রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ইতোমধ্যেই রাস্তার কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে করা সড়ক সংস্কারে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের কার্পেটিং এমনভাবে করা হয়েছে যে হাত দিয়ে টান দিলেই তা উঠে যাচ্ছে। শুধুমাত্র নিম্নমানের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার নয়, তড়িঘড়ি করে কাদা ও ময়লা পরিষ্কার না করেই কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সড়কের দুপাশে বালিবর্তী জিও ব্যাগ স্থাপন করার কথা থাকলেও সেখানে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
খামতাং পাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, দুর্গম এলাকায় হওয়ায় কাজ চলাকালীন সময়ে উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি পর্যাপ্ত নয়। ঠিকাদার তার ইচ্ছামতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে কাজ শেষ হতে না হতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে এবং ভরাটের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, কাজ বাতিল করে পুনরায় মানসম্মতভাবে সংস্কার করা হোক।
আলিফ এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার তৈয়ব বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি কিছু কার্পেটিং উঠে গেছে। তবে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাজ শেষ করেছি। যেখানে কার্পেটিং উঠেছে, সেখানে পূর্বে আরসিসি ঢালাই করা ছিল। আরসিসির ওপর কার্পেটিং দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামত করবো।’
রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক সংস্কার কাজের এসও রাহুল কান্তি শীল জানিয়েছেন, ‘সড়কের সামান্য কিছু অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। মূলত সেখানে পূর্বে আরসিসি ঢালাই ছিল। সৌন্দর্য্যের জন্য সেখানে কার্পেটিং করা হয়েছে। আমরা সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের চারটি প্যাকেজের কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবছার কনস্ট্রাকশন, আলিফ এন্টারপ্রাইজ ও ইমু কনস্ট্রাকশনকে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জুনে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে।
এআরএস

