ভূমিকম্পে দুই তারে ঘর্ষণে কারখানায় আগুন, ক্ষতি কোটি টাকা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:২০
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া এলাকায় ভূমিকম্পের সময় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারের সঙ্গে তারের ঘর্ষণ থেকে সৃষ্ট স্পার্কে একটি তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া এলাকায় ভূমিকম্পের সময় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারের সঙ্গে তারের ঘর্ষণ থেকে সৃষ্ট স্পার্কে একটি তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বন্দর ও সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়ভাবে জুলহাস মিয়ার তুলা গাইট বাঁধার কারখানা হিসেবে পরিচিত এ প্রতিষ্ঠানে আগুনে প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিক জুলহাস মিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে ঝাঁকুনি খেয়ে ট্রান্সফরমারটি পাশের কারখানার দেয়ালে আঘাত করে। এরপরই বৈদ্যুতিক তারে ঘর্ষণে সৃষ্ট ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে ওই তুলার কারখানায়। সেখানে থাকা হাইড্রলিক প্রেস মেশিনের তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারখানায়। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে তিনজন আহত হন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কারখানার মালিক জুলহাস মিয়া বলেন, ভূমিকম্পের সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। হঠাৎ দুই বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে আগুনের ফুলকি পড়ে তুলার ওপর। মুহূর্তেই আগুনে সবকিছু পুড়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা।
স্থানীয় তুলা ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারখানার তুলা জুলহাস মিয়ার প্রেস হাউসে এনে গাইট বাঁধা হয়। এসব তুলা ভারত, নেপাল, চীনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। আমাদেরও মালামাল ছিল। আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের জোন-২-এর উপসহকারী পরিচালক ওসমান গণী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। পাঁচটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পাশে ডোবা থাকায় পানি সংগ্রহে সুবিধা হয়েছে। তবে এত বড় কারখানায় কোনো ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার অস্তিত্ব চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইমতিয়াজ আহমেদ/এমবি

