ছবি : বাংলাদেশের খবর
পেঁপে চাষ করে সফল হয়েছেন ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আফতাবুর রহমান বাবুল। বাগানের সারিবদ্ধ গাছে ঝুলছে ছোট-বড় সবুজ রঙের অসংখ্য পেঁপে।
আকর্ষণীয় এসব পেঁপের নাম ‘শাহী’, ‘রেড লেডি’ ও ‘গ্রীন লেডি’। পেঁপে বাগান থেকে তিনি প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামে নিজ পুকুরপাড়ে পতিত জমিতে আফতাবুর রহমান বাবুল পেঁপের বাগান করেছেন। ৪০ শতক জমির বাগানটিতে উন্নত ফলনশীল বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষাবাদ করা হয়েছে। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে চারাগুলো ৪–৫ ফুট লম্বা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে গাছগুলো গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ছোট-বড় সবুজ পেঁপেতে ভরে গেছে। প্রথম বছরেই বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগান থেকে পাইকাররা প্রতি কেজি আধা-পাকা পেঁপে ৮০–১০০ টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাগানটি করতে বাবুলের খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকার মতো। বাগান থেকে প্রতি মাসে প্রায় এক টন পেঁপে বিক্রি করেন, যার বাজার মূল্য এক লাখ টাকা। খরচ বাদে তাঁর মুনাফা হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। পেঁপে বাগানটিতে ২–৩ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
অন্য ফসলের তুলনায় পেঁপে চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এতে আগ্রহী হচ্ছেন। বাবুলের বাগান দেখে পেঁপে চাষাবাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন বেকার তরুণরাও।
স্থানীয়রা জানান, বেকার তরুণরা এগিয়ে এলে নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন।
বাগানটি দেখতে আসা আবদুল করিম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে এখানে আসছিলাম। এসে দেখি রাস্তার পাশে সুন্দর একটি পেঁপে বাগান। খোঁজ নিয়ে জানলাম এটি আফতাবুর রহমান বাবুলের। অনেক লেখাপড়া শেষ করা মানুষ বেকার থেকে হতাশায় পড়ে। তাদের জন্য বাবুল একজন দৃষ্টান্ত হতে পারেন।’
স্থানীয় যুবক মো. শাওন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাবুল ভাই পেঁপে চাষাবাদ করে সফল হয়েছেন। আমরা তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছি এবং পেঁপে ও বিষমুক্ত সবজি চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হতে চাই।’
আফতাবুর রহমান বাবুল সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামে হোসেন পোলট্রি এন্ড ডেইরি ফিসারিজে পেঁপে বাগানের পাশাপাশি শসা, বরবটি, ঢেঁড়শ, দেশি সীম, ধুন্দুল, লাউ, কুমড়া সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করেছেন। এছাড়াও দেড় একর জায়গায় ২টি পুকুরে ১৬ জাতের মাছ চাষ করেছেন। দেশি জাতের ২টি গরুসহ আড়াই একর জায়গার ওপর তিনি সমন্বিত খামার গড়ে তুলেছেন
- এম. এমরান পাটোয়ারী/এমআই

