আলফাডাঙ্গায় শিশু জায়ান হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫
বাংলাদেশের খবর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাত বছর বয়সি শিশু জায়ান রহমান হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এমনকি এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। এরই প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার পাকুড়িয়া জাভেদ পারভেজ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বেলা আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির পাশের একটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে বাবলা গাছের ডালের সঙ্গে শিশুটির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে কারণ মরদেহের অবস্থান ছিল অত্যন্ত অস্বাভাবিক। গাছের ডালটি মাটি থেকে মাত্র এক ইঞ্চি ওপরে ছিল। এছাড়া শিশুটির পরনের প্যান্ট দিয়ে তার মুখমণ্ডল ঢাকা অবস্থায় ছিল, যা এটিকে স্পষ্টতই একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় নিহতের মা সিনথিয়া বেগম বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় এবং পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় মানববন্ধনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা। তারা দ্রুততার সাথে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পাকুড়িয়া জাভেদ পারভেজ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মো. মাযহারুল আনোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শরিফুল ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাদী জসিম, জাভেদ পারভেজ কিন্ডারগার্টেনের সভাপতি শওকত খান, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মিটু মোল্যা, নিহতের মাতা সিনথিয়া বেগম, দাদি রেহেনা বেগম ও চাচা হাবিব মোল্যা প্রমুখ।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমাদের সর্বোচ্চ আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করতে পারবো।’
রাকিবুল/এনএ

