ফেনী-২
নির্বাচিত হলে ঘাটলা-শালিশ না, প্রশাসনে হস্তক্ষেপও হবে না : মঞ্জু
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি নিজের ঘাটলা বা বাড়িতে শালিশ দরবার করবেন না এবং প্রশাসনের কাজ বা বাজার ও স্কুল কমিটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবেন না। পাশাপাশি তিনি সরকারি দপ্তরে সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই, কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি বরাদ্দের তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঞ্জু ফেনীতে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেনা ব্রিগেড স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা দেখানোর আহ্বান জানান এবং বলেন, এ জন্য যা করা দরকার সবই করা হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে তিনি রোববার (২৩ নভেম্বর) ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, পুরোনো রাজনীতি ও বিতর্ক বাদ দিয়ে ফেনী ও সারাদেশের সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করতে হবে। খারাপ মানুষকে নির্বাচিত করলে ফলাফল আরও খারাপ হবে। ইতিবাচক রাজনীতি শুরু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি ফেনীবাসীর সমর্থন কামনা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু বলেন, সরকারের এক উপদেষ্টা সম্প্রতি বলেছেন ডিসি-এসপি নিয়োগে বড় দুই দল কাড়াকাড়ি করছে। তিনি বলেন, এমন হলে সাধারণ ভোটারের ভূমিকা নষ্ট হয়। এছাড়া জামায়াতের নেতাদের প্রশাসন দখলের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর সবাই মুক্তভাবে রাজনীতি করছে, যা একটি বড় অর্জন।
মঞ্জু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে দুইবারের বেশি কেউ থাকতে পারবে না এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে বিরোধী দলের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে আগামী দশ বছরে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হবে।
তিনি বলেন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিএনপির সাথে জোটে যোগ দেননি, কারণ বিএনপির নেতারা দীর্ঘদিন সংগ্রাম ও নির্যাতনের মুখে পড়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের নিয়ে নতুন জোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা ২৫ নভেম্বর ঘোষণা হতে পারে। এমপি নির্বাচিত না হলেও তিনি ফেনীবাসীর জন্য আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির ফেনী জেলা আহ্বায়ক মাস্টার আহসানুল্লাহর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল। উপস্থিত ছিলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য এডভোকেট সাইফুল্যা নোমান, জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন বাহার ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ফজলুল হক।
এম. এমরান পাটোয়ারী/এআরএস

