বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদে নিরীহ কৃষকদের মানববন্ধন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২২
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাগেরহাটের শরণখোলায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও নিরীহ কৃষক ও জমির মালিকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
নিজেদের পৈত্রিক জমি শান্তিতে ভোগদখলের নিশ্চয়তা ও হয়রানির বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার উত্তর রাজাপুর এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মো. খলিলুর রহমান, আব্দুল জলিল, সালে আহম্মেদ গাজি, ইদ্রিস হাওলাদার, ইসমাইল হাওলাদার, চান মিয়া হাওলাদার, বাচ্চু গাজি, খোকন হাওলাদার, আবদুল আজিজ তালুকদার, ইউনুস হাওলাদার, আলাম তালুকদার, সিদ্দিকুর রহমান বাবুল মাস্টার, সুলতান মাস্টার, রেকসোনা বেগম, রজিনা বেগম, সুরমা খাতুন, সেপালি, হাসিনা বেগম, রুমা খাতুন, জহানারা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, তারা প্রায় ৯০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় প্রায় এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী সাইদুর রহমান, আবুল হোসেন আকনসহ তাদের লোকজন জমি দখলের চেষ্টা করছেন। হুমকির মধ্যে পড়েছেন তারা—ধান কাটতে বাধা, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানি এবং সন্তানদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মো. খলিলুর রহমান জানান, ১৯৩৩ সালে সরকারের কাছ থেকে নিলামে জমি ক্রয় করেন ওয়াজেদ আলী হাওলাদার, তোরাব আলী হাওলাদার ও কাজেম আলী। পরে কাজেম আলীর ২৬ বিঘা জমি অহেদ আলী ও তাদের বংশের লোক ক্রয় করেন। তবে ১৯৪৫ সালে সাইদুর রহমান ও আবুল হোসেন আকন নিলাম রোধের জন্য মামলা দায়ের করেন। এরপরও আদালত কৃষকদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ২০১১ সালে ষড়যন্ত্রমূলক গুমের মামলা দায়ের করা হলেও তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে ভূমি জরিপে মালিকানা নিশ্চিত হয়েছে। তারপরও আবুল কাশেম আকন, অহিদুজ্জামানসহ কয়েকজন নতুন করে হয়রানি করছেন। ধান কাটতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং নব্য বিএনপির কয়েকজন চাঁদা দাবি করছে।’
চান মিয়া হাওলাদার বলেন, ‘তাদের আগের সরকারের সময়ে নির্যাতিত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন নিজেদের দলের নতুন নেতৃত্বের কাছ থেকেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। কোথায় গিয়ে সঠিক বিচার পাব, তা জানি না।’
মানববন্ধনে উপস্থিত কৃষকরা দ্রুত এবং নির্বিঘ্নে জমি দখলের নিশ্চয়তা ও হয়রানির অবসান দাবি করেন।
শেখ আবু তালেব/এআরএস

