ছবি : বাংলাদেশের খবর
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের দাপট দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। নভেম্বরের শেষ ভাগেই ভোর থেকে কনকনে হিমেল হাওয়া ও ঘন আর্দ্রতায় কাঁপছে মানুষ। স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় পড়েছে বড় ধরনের প্রভাব। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই সেখানে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
উত্তরাঞ্চলে নবান্নের ধান ঘরে তোলার পরপরই প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কুয়াশা। সকালের হিমেল বাতাস জানান দিচ্ছে, শীত তার রাজত্ব শুরু করেছে আগেভাগেই। আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, সাগরের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে ডিসেম্বরেই প্রথম শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে। তবে নভেম্বর জুড়ে উষ্ণ বায়ুর প্রবাহ সক্রিয় থাকায় তীব্র শীত বাড়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শীত নামতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শীত আরও তীব্র হবে, শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
হঠাৎ বাড়তি শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ময়দানদিঘী এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, ঠান্ডায় লোকজন বের হয় না তেমন। তাই বেচাকেনা কমে গেছে।
স্থানীয় রিকশাচালকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডায় রিকশার যাত্রী কমে গেছে। রিকশা চালাতেও তাদের কষ্ট হচ্ছে এ আবহাওয়ায়।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, নভেম্বরের শেষদিকে সাগরে লঘুচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এর ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং সাগর উত্তাল হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমএইচএস

