Logo

সারাদেশ

শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার, তবুও দামে স্বস্তি নেই

Icon

এম. এমরান পাটোয়ারী, ফেনী

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১৬

শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার, তবুও দামে স্বস্তি নেই

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফেনীর পরশুরামে শীতকালীন সবজিতে কাঁচা বাজার ভরপুর থাকলেও দাম এখনও বেশি। গত সপ্তাহের তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে, তবু ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। অধিকাংশ সবজির দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে চলছে।

দেশি টমেটো বাজারে এসেছে, তবে দাম এখনও তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১৫০–১৬০ টাকা। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১১০–১২০ টাকা হলেও, প্রত্যন্ত এলাকায় খুচরা বিক্রেতারা ১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে পরশুরামের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বাজারে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫–২০ দিন আগে সবজির সরবরাহ ছিল সীমিত। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় কুমড়ার শাক দুইটি বিক্রি হয়েছিল ৬০–৭০ টাকায়। বর্তমানে সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম তুলনামূলকভাবে কমেছে।

বাজারে পাশে ব্যাংকে কর্মরত রহিম বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে সবজি দাম বেশি থাকে। কিছু প্রান্তিক কৃষক রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবজি উৎপাদন করেন। যদি কৃষক সঠিক দাম না পান, উৎপাদনের আগ্রহ হারাতে পারেন। আমরা ক্রেতা হিসেবে সবজি পাইলে দাম নিয়ে বেশি চিন্তা করি না।’

ফুলকপি ৬০–৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০–৬০ টাকা, বেগুন ৭০–৯০ টাকা, বরবটি ৯০–১০০ টাকা, মুলা ৪০–৫০ টাকা, লতি ৮০–১০০ টাকা, ধুন্দুল ৫০–৬০ টাকা, পটোল ৬০–৭০ টাকা। শিমে বিচি থাকলে ১২০–১৩০ টাকা, বিচি ছাড়া শিম ৮০–৯০ টাকা। শালগম ৮০–১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০–১৬০ টাকা। আলু ৫ কেজি ১০০ টাকা, পেঁপে ২০–২৫ টাকা। লাউ প্রতি পিচ ৬০–৮০ টাকা, লেবু ডজন ৬০ টাকা, ধনে পাতা ৫০ গ্রাম ২৫–৩০ টাকা।

বিক্রেতা বক্স মাহমুদ জানান, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ শাক, কুমড়া শাক, পুঁইশাক, ডাঁটা শাক, কলমি শাক ও পালং শাকের দাম কিছুটা কমেছে। তবে তুলনামূলকভাবে এখনও দাম বেশি।

মুদি দোকানদাররা বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও তারা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শীতকালীন সবজির সরবরাহ আছে, কিন্তু দাম এখনও স্বস্তিদায়ক নয়। কিছু সবজির দাম কমেছে, তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরও কমলে ভালো হতো।’

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাজার দর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর