মাগুরায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ
তাছিন জামান, মাগুরা
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৫
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মাগুরায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করায় জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার চারটি উপজেলা—মাগুরা সদর, শালিখা, মোহাম্মদপুর ও শ্রীপুর—জুড়ে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, জ্বর, কাশি ও ঠান্ডাসহ ঋতুভিত্তিক নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, শিশু ও বয়স্কদের আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ঠান্ডা–কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা এখন অন্যান্য রোগীর তুলনায় অনেক বেশি। কিছু হাসপাতালে বেড সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে করিডোর ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইনে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছু মৌলিক ওষুধের সংকটে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারি পর্যায়ে অ্যান্টিবায়োটিক ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ থাকলেও প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যালার্জির ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। ফলে রোগীদের অনেককেই বেসরকারি ফার্মেসির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আব্বাচ উদ্দিন বলেন, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও অ্যালার্জির সাধারণ ওষুধ হাতে না থাকায় শিশু ও বয়স্ক রোগীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা অন্যসব রোগীর তুলনায় অনেক বেশি। বেড সংকটের কারণে অনেককে করিডোরে বসে বা শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তবিবার নামে এক রোগী জানান, কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা–কাশিতে ভুগছেন। জ্বর বারবার ফিরে আসায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সিফাত নামে এক শিশুর মা বলেন, দুই দিন ধরে শিশুর জ্বর কমছে না। প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ না থাকায় চিকিৎসা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইমুন নেছা বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০–১৫ জন শিশু এবং ৮–১০ জন বয়স্ক রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, অ্যাজমা ও ডায়রিয়ায় ভুগছেন। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পানি পান, ভিটামিন–সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং মৌলিক স্বাস্থ্যসচেতনতা বজায় রাখলে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
এআরএস

