ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দু’জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের বিএনপি নেতা শাহাবুর মোল্লা ও জাহিদ বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকবার মারামারি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে শাহাবুর মোল্লার সমর্থক আল-আমিন ও জাহিদ বিশ্বাসের সমর্থক ফিরোজের পারিবারিক কলহের জের ধরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ২টি বাড়িতেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, শাহাবুর মোল্লার দলীয় পদ নেই, তবে তিনি ফুরসন্দিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। অপরপক্ষের জাহিদ বিশ্বাস ফুরসন্দি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শাহাবুর মোল্লার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা মারামারি, সংঘর্ষ ও হামলা-ভাঙচুরে জড়াচ্ছেন।

জাহিদ বিশ্বাস বলেন, ‘শাহাবুর মোল্লার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেকেই যোগ দিয়েছে। বিএনপিতে এসে মারামারি করার সুযোগ থাকা উচিত নয়। এরা সব ৫ আগস্টের পরের বিএনপি। তাই এসব ঝামেলা হচ্ছে।’

ফুরসন্দি ইউপি সদস্য ওহাব মোল্লা বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ করেন। কাজের ডাক পেলে না যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আমার চেয়ে বড় বিএনপি ফুরসন্দিতে আর কেউ নেই।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সামাজিক বিরোধের জের ধরে দুই রাজনৈতিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মো. বুরহান উদ্দীন/এআরএস