বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ৫ শিক্ষার্থী ছুরিকাহত
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ২০:২৭
ছবি : বাংলাদেশের খবর
গাজীপুরের শ্রীপুরে গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসায় বেঞ্চে বসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বরমী ইউনিয়নের গারারণ গ্রামের নুরুল্লাহর ছেলে মহিউদ্দিন, শ্রীপুর কাজীপাড়া এলাকার নয়ন মিয়া, কাওরাইদ ইউনিয়নের তমিজ উদ্দীনের ছেলে রিফাত, একই গ্রামের নজরুলের ছেলে রিফাত এবং লিটনের ছেলে নিলয়। এর মধ্যে রিফাত (নজরুলের ছেলে) ও নিলয়কে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার পরীক্ষাকালে শ্রেণিকক্ষে বসা নিয়ে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করলেও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম (১৮) ক্ষোভ পুষে রাখে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় সিয়াম মাদ্রাসা চত্বরে ঢুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত চালায়। এতে দশম শ্রেণির চারজন ও অষ্টম শ্রেণির একজনসহ মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরে পাঠান।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিজন মালাকার বলেন, “পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে, বাকিদের চিকিৎসা চলছে।”
মাদ্রাসার সুপার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এটি আমলযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অভিযোগ ছাড়াই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষাকালীন নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মারধর করেছিল। এর জের ধরে আজ নবম শ্রেণির ওই ছাত্র ছুরিকাঘাত করে পাঁচজনকে আহত করেছে।’
- আতাউর রহমান সোহেল/এমআই

