সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আমানত জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব।’

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী-১ আসনের ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজী নির্বাচনী এলাকায় ৩ নং চিথলিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম অলকা গ্রাম, বিকেল ৩টায় ৫ নং ওয়ার্ড দূর্গাপুর গ্রাম, বিকেল ৫টায় ৮ নং ওয়ার্ড নোয়াপুর এবং ৬ নং ওয়ার্ড কিসমত শালধর গ্রামে গণসংযোগ করেন মজনু।

মজনু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ফেনী-১ আসনে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মা খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দিচ্ছি। দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট না দেওয়ার কারণে ধানের শীষের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত। ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনে এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এবার তারা ধানের শীষে ভোট দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমি খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছে আপনাদের সেবা করার জন্য। আমি নেতা হিসেবে নয়, খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে কাজ করতে চাই। কোন সমস্যা দেখা দিলে আমার নাম্বারে কল দিলে তা সমাধান করা হবে।’

মজনু জানান, বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের জন্য বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ হবে প্রথম প্রাধান্য।

তিনি অভিযোগ করেন, “গ্রামের রাস্তার বেহাল অবস্থা রয়েছে। আওয়ামী লীগ এলাকায় উন্নয়ন না করে নিজেদের প্রকল্পে মনোনিবেশ করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তা ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার করা হবে।” তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

নির্বাচনী জনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র আবু তালেব, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক, সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল মনি, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মাকসুদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের লিটন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতাহার হোসেন পাপরুল এবং সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাবু। এছাড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

এম. এমরান পাটোয়ারী/এআরএস