ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১০) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত কিশোর শিপন মিয়া (১৬)-এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সদরের খয়েরদিরচর গ্রামে জনৈক সাজিল হকের বাড়ির পেছনের একটি পরিত্যক্ত রান্নাঘরের ভেতরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) মামলা দায়ের করা হয়। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিপন মিয়া একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা ও ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই শিশুটি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় খয়েরদিরচর গ্রামের আজিজুল হকের বখাটে ছেলে শিপন মিয়া রাস্তায় একা পেয়ে মেয়েটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে পাশের সাজিল হকের পরিত্যক্ত রান্নাঘরের ভেতরে নিয়ে যায়।

সেখানে শিপন মিয়া রশি দিয়ে শিশুটির হাত বেঁধে দেয়। মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে অভিযুক্ত তার মুখ চেপে ধরে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর শিশুটি প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বাড়িতে ফিরে তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে পুরো বিষয়টি জানায়। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এমএইচএস