কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা রোববার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন অংশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও সংহতি প্রকাশ করে।

পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেও কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি না আসায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ অব্যাহত রাখেন। এতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। বিকাল ৪টার দিকে দুই জেলার কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে তারা ভোগান্তি সহ্য করছেন। সাধারণ মানুষও সমস্যার সম্মুখীন। আমরা ইতিপূর্বে দাবি জানিয়ে আন্দোলন করলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সড়ক সংস্কারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলাপের পরই আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখার আহ্বায়ক এস এম সুইট বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পর্যন্ত মহাসড়কের বড় অংশ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও যাত্রী এখানে চলাচল করছেন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে। বিভিন্ন সময় দাবিসূচি জানানো হলেও সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

পরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার সড়ক উপবিভাগ প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবির ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।

তারা জানান, আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) থেকে দুই মালবাহী ট্রাক নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। কুষ্টিয়াতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে এবং সমস্যাযুক্ত অংশে নতুন করে পিচ ও ইট দিয়ে সংস্কার করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।

উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. খাইরুল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী এবং দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবরও ইবি শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। তখন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাতদিনের মধ্যে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন, কিন্তু দেড় মাস পার হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পুনরায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়।

এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন/এআরএস