কুমিল্লায় বইমেলা : উপস্থিতির তুলনায় বিক্রি কম
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৪১
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের ঐতিহাসিক টাউনহল মাঠে চলছে কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫। ৯ দিনব্যাপী এই মেলার চতুর্থ দিনেও দর্শনার্থীর উপস্থিতি উপচে পড়লেও স্টল মালিকদের দাবি, প্রত্যাশামতো বই বিক্রি হয়নি। অধিকাংশ দর্শনার্থী ঘুরে দেখা ও ছবি তুলাতেই ব্যস্ত থাকলেও ক্রেতা তুলনামূলক কম ছিলেন।
মেলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনে ২ লাখ ৩ হাজার, দ্বিতীয় দিনে ২ লাখ ৫১ হাজার এবং তৃতীয় দিনে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তিন দিনে মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। আফসার ব্রাদার্স, অন্যধারা ও নবকথন প্রকাশনীর স্টলে বিক্রি সবচেয়ে বেশি, ৫০ হাজার টাকার বেশি। সকল প্রকাশনী মেলার দর্শনার্থীদের জন্য ২৫% বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।
মেলায় অংশ নিয়েছে ৯৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঢাকার প্রকাশনী ৭৪টি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ১০টি এবং কুমিল্লার স্থানীয় প্রকাশনী/প্রতিষ্ঠান ১০টি। মাঠজুড়ে সাজানো হয়েছে শতাধিক স্টল। মেলায় নতুন বই, শিশুতোষ বই, গবেষণা, সমকালীন সাহিত্য, জীবনী ও ধর্মীয় গ্রন্থের সমাহার রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, ‘দর্শনার্থী অনেক, কিন্তু ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে শিশুদের বই, হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাস ও প্রবন্ধ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।’
-692db731bebac.jpg)
মেলার বিক্রয় প্রদর্শনীর সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রকাশকদের সাড়া অসাধারণ। পুরো মাঠ ভর্তি। প্রথম তিন দিনেই পাঠকের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে গল্প-উপন্যাস, শিশুতোষ বই ও ধর্মীয় বইয়ের বিক্রি ভালো। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কবিতা পাঠ, সংগীতানুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় মেলা মুখর থাকে।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এ আয়োজন। ঢাকার প্রকাশনীর বই কুমিল্লাতেই সহজে পাওয়া যাবে—এ লক্ষ্য থেকেই মেলাকে বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। পাঠকের আগ্রহ দেখে আগামী বছর আরও বৃহৎ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিক্রি তুলনামূলক কম হলেও সন্ধ্যার পর মেলা প্রাঙ্গণ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন, ঢাকার প্রকাশনীর উপস্থিতি সব মিলিয়ে কুমিল্লা বইমেলা ২০২৫ ইতোমধ্যেই পাঠক-দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
এআরএস

