ছবি : প্রতিনিধি
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘর থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। সকালের দিকে সূর্যে দেখা মিললেও বিকেল ৪টা বাজতে না বাজতেই ফের হারিয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সকাল ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলো। এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকলেও শেষ বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
গ্রামের নারীরা জানান, ‘ভালো ঠান্ডা লাগছে। দিনের বেলায় গরম হলেও রাতে ঠান্ডা। রাত যত গভীর হয় ততো যেন ঠান্ডার মাত্রাটা আরও বাড়ে। এ সময়ে ঘরের বিছানাপাতি, ঘরের মেঝে, পানি আর আসবাবপত্র বরফ হয়ে উঠে। শীতের কারণে বাড়িতে শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন।’
শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের মধ্যে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
এসকে দোয়েল/আইএইচ

